নিশ্চিন্তে ফেইসবুকিং করার সময় কানে বেজে ওঠে অসহনীয় কোনো নারীকন্ঠের চিৎকার। রাতদুপুরে এমন চিৎকার গায়ে কাঁটা দিলো।
এরপর কিছুক্ষণের মধ্যেই কেউ পুলিশকে জানায়। পুলিশ এসে পাশাপাশি কয়েকটা বিল্ডিং সার্চ করার পর ওই মহিলাটাকে খুঁজে পায়।
না, মরে যায়নি। তবে বেশ মারধোর করা হয়েছে তাকে। মেরে রক্তাক্ত করেছে তার স্বামী! যে সম্পর্ক হওয়া উচিত ছিলো সবচেয়ে ভরসার, সেটাই হয়তো মেয়েটার জন্য আজ আতঙ্কের!
রবীন্দ্রনাথের একটা কথা ছিলো এমন : কারও বা থাকে দাবি, কারও বা থাকে দায় – এই দুই নিয়েই সংসার। আমাদের সমাজের বেশিরভাগ সংসারগুলোতে স্ত্রীদের থাকে দায়, আর নিজের আপনজন ছেড়ে আসা বউটির প্রতি সকলের থাকে নানাবিধ দাবি।
বেশিরভাগ লোক এখন স্ত্রী-সন্তানদের ভালোবাসে সমাজের নিয়মে স্রেফ আনন্দের জন্য; আর পূর্ববর্তী অলি আউলিয়াগণ পরিবারকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন আল্লাহ্ তা’আলার সন্তুষ্টি লাভের আশায়। দু’য়ের মধ্যে আকাশ পাতাল ব্যবধান।
সমাজ শেখাবে স্ত্রীর প্রতি, স্ত্রীর পরিবারের প্রতি ভালোবাসা আর সম্মানবোধ থাকা খুবই হাস্যকর বিষয়। অথচ ভরা মজলিসে যখন রাসূল (ﷺ) কে জিজ্ঞেস করা হলো তার সবচেয়ে প্রিয় মানুষের ব্যাপারে, নবীজি নিঃসংকোচে বলে দেন – ‘আয়িশাহ্!’
রাসূল (ﷺ) বলতেন, ‘খাবারের মধ্যে সারিদ যেমন সবার সেরা, নারীদের মধ্যে আয়িশাহ্ সবার সেরা।’ (বুখারি)
স্ত্রীদের এমন প্রশংসা আমাদের সমাজে আজ লজ্জার বিষয়। অন্যান্য হক্বের কথা দূর কি বাত! এই শতকেও অনেক পুরুষদেরকেই রেগে গেলে স্ত্রীদের গালি দিতে ও মারধোর করতে দেখা যায়। অথচ আমাদের রোল মডেল রাসূল (ﷺ) কখনোই কোনো স্ত্রীর গায়ে হাত তোলেননি। হাদীসে আছে –
‘তাদের আঘাত করোনা এবং গালি দিওনা।’ (আবু দাউদ)
– – – 0 – – –